কবিতা- কাঠের ব্যালকনি

কাঠের ব্যালকনি
-উজ্জ্বল দাস

 

 

বসন্তের ভেজা গন্ধে আজ আমি মাতাল
ঠিক, ঠিক যেমন তোর শরীরের সোঁদা,,,
না না থাক, লজ্জা করছে।

তুই বললি চল, আজ বাউন্ডুলে হই।
আমি বললাম নানা বরং একটু চলনা-
বসন্তের ফুলে আগুনের তাপ নিয়ে আসি
তোর সেই ছেঁড়া ক্যানভাসটা নিয়ে আসিস বুঝলি।

একটা ফাটা স্টাইলিশ হাফ প্যান্ট পরে বসলাম
ওই কাঠের ব্যালকনিটার ওপরে রাখা চেয়ারে।
আর তুই আবছা অন্ধকারে ডুব দিলি আমার মধ্যে।
ওই ভিজে অন্ধকারে দেখলাম-
তুই ভিজে গেছিস পুরো পুরো পুরোটা।।
আমাকে তোয়ালে করে মুড়ে ফেলেছিস তোর মধ্যে।
তোর কি লজ্জা করে না।
ছাড় বলছি, ছেড়ে দে আমায়।

জিভটা বের করে নিলাম সজোরে।
এত জোরে আওয়াজ হলো,
দুটো রাত জাগা পাখি, ডানায় শব্দ করে উড়ে গেলো।
উফফ তুই পারিস বটে।

টিপ টিপ বৃষ্টি টা পরেই চলেছে।
তোর সোঁদা গন্ধে না না,
বসন্তের ভেজা গন্ধে আমি মাতাল হয়ে বসে রইলাম,
কাঠের ব্যালকনিতে।

Loading

One thought on “কবিতা- কাঠের ব্যালকনি

Leave A Comment